ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫ , ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

"হিজলায় নারিকেল চারা না পেয়ে কৃষি কর্মকর্তার উপর হামলা"।

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৬-২৪ ০০:০৪:৪৪
"হিজলায় নারিকেল চারা না পেয়ে কৃষি কর্মকর্তার উপর হামলা"। "হিজলায় নারিকেল চারা না পেয়ে কৃষি কর্মকর্তার উপর হামলা"।


নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের হিজলা উপজেলায় সুপারিশ মোতাবেক কৃষি প্রণোদনার নারিকেল চারা বিতরণ না করায় উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফকরুল ইসলামের ওপর হামলা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।


রোববার রাতে উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর এলাকার টেকের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর রাতেই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তার পুত্র হিজলা ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জিসান ও ভাগ্নে আজমাইন চৌধুরীসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


হামলায় আহত উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফকরুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষি প্রণোদনার নারিকেল চারা বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উপজেলার ৫শতাধিক মানুষের মাঝে এসব চারা বিতরণ করা হবে।


উদ্বোধনের পরপরই উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দীন দেওয়ান তার সিলেকশন করা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে চারা বিতরণের নির্দেশ দেন। কিন্তু ওই বিএনপি নেতার সুপারিশ গ্রহণ করা সম্ভব নয় জানালে সকালেই তিনি ক্ষিপ্ত হন। এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন রাত নয়টায় টেকের বাজারে গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে তার ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান, ভাগ্নে আজমাইন চৌধুরীসহ ৩-৪ জন পথরোধ করে তার ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ফকরুল ইসলামের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে স্থানীয়রা ফকরুলকে উদ্ধার করে হিজলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।


হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান বলেন, একটি ট্রাক্টর দেয়ার কথা বলে দুই বছর আগে তার কাছ থেকে ৬০হাজার টাকা নেন ওই কৃষি কর্মকর্তা। কিন্তু ট্রাক্টর না দিয়ে টালবাহানা শুরু করেন। এ নিয়ে রোববার রাত সোয়া নয়টায় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তার ওপর কোনো হামলা হয়নি। এমনকি নারিকেলের চারা বিতরণকালে রোববার আমার সঙ্গে তার দেখাও হয়নি। এ ঘটনায় তার পুত্র কোনোভাবেই জড়িত নয়। রোববার সন্ধ্যায় সে ঢাকা গিয়েছে বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।


এ বিষয়ে ‍হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মনির হোসেন বলেন, গিয়াস উদ্দীন যে কাজটি করেছেন তা অগ্রহণযোগ্য। বিষয়টি তিনি জেলার নেতৃবৃন্দকে জানাবেন। তারাই ব্যবস্থা নিবেন।


মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে হিজলা থানার ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম বলেন, ফকরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগ এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে  অভিযান শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।




 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ